স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ তাদের বেতন ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়ার দাবিতে যে আন্দোলন করছে তা যৌক্তিক। তবে তাদের দাবি আদায় করতে গিয়ে নাগরিক সেবা বন্ধ করে পৌরবাসীকে জিম্মি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারি মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। তিনি বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, সারাদেশের ৩২৭টি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিগণ তাদের বেতন ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে গত এক সপ্তাহ যাবত ঢাকায় অবস্থান করে যে আন্দোলন করছেন তা যৌক্তিক। দেশের অধিকাংশ পৌরসভায় আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে সময়মত পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিগণ তাদের বেতন ভাতা পান না। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তাই সরকারকে বিষয়টি সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ এবং তাদের দাবি মেনে নেয়া উচিত। আমি তাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছি। তবে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে পৌরবাসীকে কোনভাবেই জিম্মি করা উচিত নয়। গত ৬ দিন যাবত হবিগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিগণ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। এতে পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর এলাকার সড়ক বাতি না জালানোর কারণে শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে শহরে চুরি ডাকাতিসহ যে কোন ধরনের অনাকাংখিত ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। পৌরবাসীর মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আমি ২০০৪ সালে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পৌর এলাকার সংলগ্ন মসজিদের ৫ জন মোয়াজ্জিনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম স্ট্রীট লাইটের মেইন সুইচ অন অফ করার জন্য। যাতে কোন ভাবেই শহর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে না পড়ে। এজন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদেরকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিগণ দাবি আদায় করতে ঢাকায় অবস্থান করলেও ওই মোয়াজ্জিনগণ তো তাদের সাথে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করছেন না। তাই তাদের মাধ্যমে সড়ক বাতিগুলো জালানোর ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান জি কে গউছ। এতে শহরবাসির মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে এবং অনাকাংখিত ঘটনা থেকে শহরবাসি রক্ষা পাবে। স্থানীয় প্রশাসনকেও পৌরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি অনুনোধ জানান।