স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা সদর হাসপাতাল এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুধীর চন্দ্র শীলের মালিকানাধিন সুবর্ণা ফার্মেসীতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার অভিযোগে এ এইচ রুবেল মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেটের মা ফার্মেসী থেকে এক রোগী তার কাটা অংশ সেলাই করার জন্য একটি প্রলিন সুতা ক্রয় করেন। সেই সুতার মূল্য উল্লেখিত মা ফার্মেসীর মালিক ওই ক্রেতার কাছ থেকে বাজার মুল্যের দ্বিগুণ দাম রাখেন। বিষয়টি সুবর্ণা ফার্মেসীর মালিকের কাছে ওই ক্রেতা অভিযোগ করেন। এ সময় সুবর্ণা ফার্মেসীর মালিক বিষয়টি মা ফার্মেসীর সেলিম মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে সেলিম মিয়া উত্তেজিত হয়ে সুধীর চন্দ্র শীলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সেলিম তার মালিক এ এইচ রুবেল মিয়াকে সুবর্ণা ফার্মেসীতে ঢেকে আনেন। পরে রুবেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে আরো ৪/৫ জনকে সাথে করে নিয়ে সুবর্ণা ফার্মেসীতে হামলা চালান। হামলাকারীরা সুবর্ণা ফার্মেসীতে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ টাকা ও ঔষধ নিয়ে যায়।
হামলায় সুবর্ণা ফার্মেসীর মালিক সুধীর চন্দ্র শীলের বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। আহত সুধীর চন্দ্র শীলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সদর উপজেলার আষেঢ়া গ্রামের মোঃ মহিউদ্দিন মিয়ার পুত্র বর্তমানে অনন্তপুরে বসবাসরত এ এইচ রুবেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যান্য হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সুধীর চন্দ্র শীল বাদী হয়ে মা ফার্মেসীর মালিক এ এইচ রুবেল মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের সেলিম মিয়া, সদর উপজেলার রিচি গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার পুত্র রাহুল মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী জানান, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না।