বাহুবলে মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় রক্তাক্ত হয়েও এসএসসি পরীক্ষা দিল হেনা

এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাহুবলে নির্বিঘেœ চলছে বালু ও মাটি পাচার। উপজেলা ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বালু ও মাটি পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বেপরোয়া বালু ও মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলের কারনে জনচলাচলের সরকারি রাস্তাঘাট হুমকির মুখে পড়েছে। এতে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাহুবল-রশিদপুর সড়কের পশ্চিম ভাদেশ্বর এলাকায় ইটভাটার মাটি বোঝাই ট্রাক্টর চাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা জুড়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বাহুবল পরীক্ষা কেন্দ্রে আসছিল। এসময় বাহুবল-রশিদপুর সড়কের পশ্চিম ভাদেশ্বর এলাকায় ইটভাটার মাটি বোঝাই একটি ট্র্রাক্টর ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের জান্নাতুন নাহার হেনা নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই পরিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায়ই ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ঘটনার পর ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার্থী ও স্কুল কমিটির সভাপতি হারুন আল রশীদ সহ অভিভাবকবৃন্দ বাহুবল মডেল থানায় এসে বিচার দাবি করেন। এ প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বিচারের আশ্বাস দিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পরীক্ষা চলাকালে রশিদপুর-বাহুবল সড়কে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর নির্দেশে ৩টি ট্রাক্টর আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বাহুবল বাজারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যানজট সৃষ্টির অভিযোগে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা আটক করে থানায় থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ইটভাটার মাটি বুঝাই ট্রাক্টর চলাচলের ঘটনায় জের ধরে মিরপুর বাজারে দোকান খুলতে বাধা দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র্র করে ইটভাটা মালিকের লোকজন ও স্থানীয় পূর্ব জয়পুর গ্রামের লোকজন সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনিক কর্মকতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।