স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সালেহা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিউল আলম চৌধুরী শামীমকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলা সদস্য সালেহা আক্তারকে (৩৫) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সালেহা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী শামীমকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শামীম শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা ও ¯œানঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মুজিবুর রহমান চৌধুরীর বড় ছেলে।
মামলার বিবরণ ও আহত সালেহা আক্তার জানান, ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর ফেসবুকে পরিচয় হওয়ার পর শামীম ও সালেহার মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। শামীম সুন্দরী সালেহাকে কাছে পেতে বিয়ের ফাঁদ পাতে। সালেহাও তার মাস্টারপ্লানে আবেগে আটকে যায়। এক পর্যায়ে তারা কাবিন মুলে বিয়েতে আবদ্ধ হয়। শামীম সালেহার বাসায় ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করতে থাকে। বিয়ের কিছুদিন পর শামীমের আসল রূপ ধরা পড়ে। মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য নির্যাতন শুরু করে স্ত্রীকে। গত সোমবার রাত ১০টায় সালেহাকে টাকার জন্য মারপিট করে রুমে আটক করে শামীম তাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন শামীমকে আটক করে থানায় খবর দিলে এসআই সাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ শামীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় শামীম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, সালেহা ও তার স্বজনরা শামীমকে মারপিট করায় সে আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, সালেহা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে শামীমকে আটক করা হয়েছে। সুস্থ হলে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com