পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে স্বামী

স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সন্তানের জননীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ চেপে ঘর থেকে তুলে নিয়ে আখক্ষেতে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। রবিবার ভোরে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের পানিহাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ রুমার ওপর নির্যাতনের শব্দ শুনে দুই প্রতিবেশী নারী আখক্ষেতে যান। তারা রুমাকে মারধর করতে দেখেন। এ সময় ওই নারী চিৎকার দিলে স্বামী জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী গৃহবধূকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
উপজেলার সুন্দ্রাদিল গ্রামের রুমার পিতা আবদুল আওয়াল জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে পানিহাতা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রুমার স্বামী ও তার পরিবার বিভিন্নভাবে যৌতুক দাবি করে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। কয়েক দফায় রুমার স্বামীকে ৭৯ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপরও রুমার উপর নির্যাতন থেমে থাকেনি।
রুমার পরিবারের দাবি, জাহাঙ্গীর পরনারীতে আসক্ত। এ কারণে রুমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো। ৬ মাস পূর্বে রুমা তার স্বামী ও পরিবারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বাবার বাড়ি সুন্দ্রাদিল গ্রামে চলে আসে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশও বসে। গত শুক্রবার রুমার শ^শুর এরশাদ আলী ও তার শাশুড়ি সুন্দ্রাদিল গ্রামে গিয়ে পুত্রবধূ রুমাকে পানিহাতা গ্রামে নিয়ে যায়।
পরে রবিবার ভোর রাতে রুমার চোখ মুখে কাপড় বেঁধে স্বামীসহ কয়েকজন আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে মারপিট করতে থাকে। এ সময় শব্দ শুনে পাশের বাড়ির দুই মহিলা সেখানে গিয়ে মারপিট করার দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করে। এতে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে রুমার বাবা আবদুল আওয়াল ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।