আড়াই লাখ টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে চোরেরা

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানার বাসায় দিনদুপুরে রহস্যজনক চুরি সংঘটিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত মোতালিব ভবন নামের ভাড়াটিয়া ওই বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় চোরচক্র বাসায় থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা ও তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কালাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের ওসমানী রোডস্থ উপজেলা পরিষদের সামনে মোতালিব ভবনের ৩য় তলায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন ওয়ান ব্যাংক কর্মকর্তা উপজেলার সিট ফরিদপুর গ্রামের আবুল কালাম ও তার স্ত্রী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা। তারা দুজনই দিনে থাকেন কর্মব্যস্ত। তারা জানান, গতকাল সকালে তারা দুজনই স্ব স্ব কর্মস্থলে চলে যান। ঘরে ছেলে ও মেয়ের সাথে থাকেন ফরিদা নামে তার এক বোন। ফরিদা বেগম তাদের ছেলে-মেয়েকে প্রতিদিনের ন্যায় উপজেলা শিশু শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমিতে নিয়ে যান। স্কুল থেকে ফিরে দেখেন মূল দরজার তালা ভাঙা এবং ভিতরে আলমারি, ওয়ারড্রবের সব কিছু তছনছ। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সায়মা সুলতানা জানান, তিনি ক্লাস্টারে ক্লাস করাচ্ছিলেন। এ সুযোগে চোরেরা ঘরের মূল দরজা ভেঙে ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, আড়াই লাখ টাকা ও স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বাসায় চুরির খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গিয়ে ভিড় জমান ওই বাসায়। শহরের মূল সড়কে অবস্থিত বাসাটিতে একাধিক পরিবারের বসবাস থাকা সত্ত্বেও দিনদুপুরে এমন ঘটনাকে রহস্যজনক বলেও মনে করছেন অনেকেই। এ ছাড়া প্রায় ১২ দিন পূর্বে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে উপজেলা সার্ভার স্টেশন ও একটি বাড়ি একটি খামারের অফিসে চুরির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কমপ্লেক্সের সামনেই দিনদুপুরে কর্মকর্তার বাসায় চুরির ঘটনার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অপরদিকে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলাম বলেন- চোর চক্রকে সনাক্ত করে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।