স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোপাল দাসের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র কর্মসূচির ৬০ জন মাটি কাটা শ্রমিকের টাকা আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার ফাতেমা আক্তার বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২ ডিসেম্বর তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন পুকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে “অতি দরিদ্র কর্মসূচির আওতায় রামগঞ্জের ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ি থেকে ছিদ্দিক আলীর বাড়ি পর্যন্ত ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরের মাটি ভরাট করার কাজের বরাদ্দ আসে। উক্ত প্রকল্পের মাটি কাটার জন্য ৬০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রত্যেক শ্রমিকের জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মাস্টাররুল দাখিল করেন ২নং ওয়ার্ড মেম্বার রামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার দীঘলবাগ গ্রামের গোপাল দাস। উভয় মেম্বার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের লোকদের দিয়ে টিপসই দস্তখত প্রদান করে কথিত মাস্টার রুল তৈরি করেন এবং চেকে ইউপি সদস্যা ফাতেমা আক্তারের স্বাক্ষর ২নং ওয়ার্ড মেম্বার নিজেই প্রদান করেন। পরে তারা ৬০ জন শ্রমিকের ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার গোপাল দাস প্রকল্পের শ্রমিকদের ৬১ হাজার টাকা কৃষি ব্যাংক নাগুড়া শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা টাকা না পেয়ে ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তারকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় মহিলা মেম্বার ফাতেমা আক্তার ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোপাল দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শ্রমিকদের মাটি কাটার টাকা উদ্ধার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হন তিনি।