সোনালী ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা উত্তোলনের সাথে সাথে ১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন কাজল দেব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে সোনালী ব্যাংক থেকে সমাজসেবা কার্যালয়ের ভাতা উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার দায়ে বাহুবল সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিল্পী রানীর স্বামী কাজল দেবকে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সোনালী ব্যাংক বাহুবল শাখা থেকে সমাজসেবা অফিস প্রদত্ত ভাতা উত্তোলন করতে যান বাহুবল সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের ভাতাভোগীরা। এ সময় তাদের সাথে সেখানে যান মহিলা মেম্বার শিল্পী রানীর স্বামী কাজল দেব। ভাতা উত্তোলনের পর ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ইউপি সদস্যা শিল্পী রানীর স্বামী কাজল দেব কমিশন হিসেবে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক সদস্য সেখানে হাজির হন। এ সময় ডিএসবি’র ওই সদস্য কাজল দেবের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে সে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে। ডিএসবি’র ওই সদস্য বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেন। অফিসার ইনচার্জ সেখানে এসআই রুহুল আমিনসহ একদল পুলিশ পাঠিয়ে কাজল দেবকে আটক করেন। দুপুর ১টার দিকে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কাজল দেবকে ১ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা হক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, দীর্ঘদিন কাজল দেব তার স্ত্রী’র মেম্বার পদে ক্ষমতা দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। এছাড়াও কাজল দেব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন সময় অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ সমাজ সেবার ভাতাভোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে তাকে হাতেনাতে তাকে ধৃত করে পুলিশ। এ অপরাধে তাকে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে দন্ডিত কাজল দেবকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে বাহুবল সদরের হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা ক্ষিরোদ দেবের ছেলে।