আগামীকাল পর্যন্ত প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা নেয়া হবে ॥ পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে ভোটার তালিকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ ৮টি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করছেন। শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের পর কাউন্সিলে ভোট হবে কি-না তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায়ও অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই পোস্টার, লিফলেট তৈরি করে কাউন্সিলারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের দোয়া, আশির্বাদ ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সম্ভাব্য কাউন্সিলর হিসেবে ৩৬০ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা কমিটির ৭১, আজমিরীগঞ্জে ১৮, বাহুবলে ২৮, বানিয়াচঙ্গে ৪৩, চুনারুঘাটে ৩৯, হবিগঞ্জ সদর, পৌরসভা ও শায়েস্তাগঞ্জে ৫৪, মাধবপুরে ৪১, নবীগঞ্জে ৪৪ ও লাখাইয়ে ২২জন। তবে কাউন্সিলরদের কোন তালিকা এখনও চুড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও সম্মেলনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে। ২ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যারা কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অংশগ্রহণ করতে চান তাদের জীবন বৃত্তান্ত আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত জমা নেয়া হবে। পরবর্তীতে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে সম্মেলন শেষে কাউন্সিলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হবে না-কি কেন্দ্র থেকে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে চুড়ান্ত করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র নেত্রী নিতে পারবেন। যেহেতু হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি কমিটি গণতান্ত্রিকভাবে হয়েছে, এবারও এর বাইরে কোন কিছুই হবে না বলে তিনি মনে করেন।
এবারও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৮টি পদে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, তিন জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তিন জন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। বিগত কাউন্সিলে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অনেকেই এবারের কাউন্সিলেও বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এবারের কাউন্সিলে বিভিন্ন পদে নতুন মুখও দেখা যাবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ৩টি পদে ১০ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে ৮ প্রার্থী নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, সাবেক সভাপতি ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী ও স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর বড় ভাই অ্যাডভোকেট ফজলে আলী।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চৌধুরী মোঃ আবুবকর সিদ্দিকী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ৩টি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, অ্যাডভোকেট সালেহ আহমেদ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজ আলী, বর্তমান প্রচার সম্পাদক অনুপ কুমার দেব মনা, দপ্তর সম্পাদক আলমগীর খান সাদেক, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট সুমঙ্গল দাশ সুমন। সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরউদ্দিন বুলবুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, অ্যাডভোকেট মুনতাকিম চৌধুরী খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল।