তৈয়বুর রহমান শ্যামল সাধারণ সম্পাদক

‘নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশী টিভি রিপোর্টারস এসোসিয়েশনের (নেবট্রা) নতুন কমিটি নর্থ ইংল্যান্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির সংগ্রাম-সাফল্যকে সাথে নিয়েই মূলধারার দিকে এগিযে যাবে, প্রতিনিধিত্ব করবে কমিউনিটির। সংবাদ আর সাংবাদিকতায় সত্যের পক্ষে থাকার অঙ্গিকারে নেবট্রা হয়ে উঠবে এই জনপদের মানুষের নির্ভরতার প্রতিক। শুধু বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাই নয়, পুরনো আর জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে সুস্থ চিন্তা-চেতনা এবং আধুনিকতার স্পর্শে উজ্জল আর গতিশীল হয়ে উঠবে এ অঞ্চলের সাংবাদিকতা।’
একথাগুলোই উচ্চারিত হয়েছে ওল্ডহ্যাম শহরের প্রবাস বাংলা কার্যালয়ে, নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশী টিভি রিপোর্টারস এসোসিয়েশনের (নেবট্রা) নতুন নেতৃত্ব গঠনের সভায়, গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায়। নেবট্রার প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও মওদুদ আহমদের পরিচালনায় এতে উপস্থিত সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন খালেদ আহমেদ।
দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর নেবট্রার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চার সদস্যের সাবজেক্ট কমিটির মাধ্যমে মনোনয়ন করা হয় নেবট্রার আগামী দু’বছরের নেতৃত্ব। বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে ওল্ডহ্যাম ম্যানচেস্টার বার্নলী লিভারপুল রচডেল লীডস নিউক্যাসেলসহ নর্থ ইংল্যান্ডের টিভি সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা প্রতিযোগিতা নয়, সৃজনশীল কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই সমাজ-সংস্কৃতিতে সাক্ষর রাখবে নেবট্রা’- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট সাবজেক্ট কমিটির পক্ষ থেকে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন নর্থওয়েস্ট বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ৫২বাংলাটিভিডটকম’র প্রধান সম্পাদক ফারুক যোশী। সভায় মোহাম্মদ শাহাজাহানকে সভাপতি ও তৈয়বুর রহমান শ্যামলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।
এসময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিবিটিভির চেয়ারম্যান সম্পাদক আফজাল রাব্বানী, জিএসসি লিবারপুলের চেয়ার মুনিম খান, প্রেসক্লাবের গণি চৌধুরী এবং পিবিটিভি’র এম আহমেদ জুনেদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এমজি কিবরিয়া, দিলওয়ার হোসাইন শিবলী, সিপার আহমেদ, শাহ মোবাশ্বির আলী, শাহ কাইয়ুম, শামীম আহমেদ, আমিন বাবর চৌধুরী, আব্দুল হক, সৈয়দ মিজান, খালেদ আহমেদ, আমিনুল হক ওয়েছ এবং মিজানুর রহমান মিজান সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ-সভাপতি এমজি কিবরিয়া, মোহাম্মদ সিপার মিয়া, মোহাম্মদ আলমগীর ও মুমিন খান; সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান শ্যামল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মওদুদ আহমেদ, সহ সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ লায়েক, কোষাধ্যক্ষ দিলওয়ার হোসাইন শিবলী, সহ কোষাধ্যক্ষ ফখরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ কাইয়ুম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোবাশ্বির আলী, প্রেস এবং পাবলিসিটি সৈয়দ মিজান, সহ প্রেস এবং পাবলিসিটি এমজি জাকারিয়া, অফিস সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ অফিস সম্পাদক সারওয়ার হোসাইন, ট্রেনিং এবং রিসার্চ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম, সহ ট্রেনিং এবং রিসার্চ আবুল হোসেন, সাহিত্য এবং সংস্কৃতি সম্পাদক আমিনুল হক ওয়েছ, সহ সাহিত্য এবং সংস্কৃতি সম্পাদক রাহেল চৌধুরী, স্পোর্টস সম্পাদক খালেদ আহমেদ ও সহ-স্পোর্টস সম্পাদক সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ। কার্যকরী কমিটির নির্বাহি সদস্যরা হলেন- আমিন বাবর চৌধুরী, ফয়জুন নুর, আকমল হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, হাসান ও সৈয়দ মাহফুজ।
এছাড়া চার সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়। উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন ফারুক যোশী, গণি চৌধুরী, আফজাল রাব্বানী ও এম আহমদ জুনেদ।
এখানে উল্লেখ্য, তৈয়বুর রহমান শ্যামল হবিগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মেসার্স মোহাম্মদীয়া স্টোরস, মোহাম্মদীয়া কম্পপ্লেক্সের ইউনাইটেড শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের মালিক মরহুম হাজী মো: আজিজুর রহমান তোতা মিয়ার সন্তান।