হবিগঞ্জে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কলেজছাত্রী ও মেডিকেল ছাত্রীসহ অনেকেই ॥ প্রতারণায় বিকাশের লোকজনের জড়িত থাকার সন্দেহ

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারকচক্র। পিন নম্বর পরিবর্তনের নাম করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে বিকাশ একাউন্টের টাকা। আর এতে কোম্পানীর লোক জড়িত রয়েছে এমন সন্দেহ ক্ষতিগ্রস্তদের।
ইতোপূর্বেও হবিগঞ্জের অনেক বিকাশ গ্রাহক প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে টাকা খুইয়েছেন। মাঝে কিছুদিন প্রতারকরা নিরব থাকলেও সম্প্রতি তারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়ে নিজের একাউন্টের টাকা খুইয়েছেন হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার কলেজছাত্রী সায়মা আক্তার। তিনি জানান, একটি গ্রামীণ ফোন নম্বর থেকে তার মোবাইল নম্বরে কল আসে। তিনি ফোন রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে বিকাশ অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে, আপনার একাউন্টের পিন নম্বর ৪ ডিজিটের। বর্তমানে পিন নম্বর পরিবর্তন করে ৫ ডিজিটের করা হয়েছে। তাই আপনি আপনার পিন নম্বরের শেষ ডিজিটটি বলুন আমি আপনার পিন নম্বর ৫ জিজিট করে দিচ্ছি। ওই কলেজ ছাত্রী শেষ ডিজিট বলার পর তার খেয়াল হল বিকাশ থেকেতো এভাবে ফোন দিয়ে পিন নম্বর পরিবর্তন করে দেয়ার কথা নয়। এটিতো নিজে নিজে পরিবর্তন করা যায়। সাথে সাথে তিনি বাসার পাশর্^বর্তী বিকাশের দোকানে গেলে দোকান মালিক জানান তার একাউন্টের টাকা প্রতারক হাতিয়ে নিয়েছে। সায়মা আক্তার জানান তার একাউন্টে ৩ হাজার ৯শ’ টাকা ছিল। সব টাকাই প্রতারক নিয়ে নিয়েছে।
একইভাবে প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে টাকা খুইয়েছেন একই এলাকার এক মেডিকেলের ছাত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রী জানান, প্রতারক তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে নিজেকে বিকাশ অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে আপনার বিকাশ একাউন্টটিতো আপনার বাবার নামে খোলা। যেহেতু এটি আপনি ব্যবহার করেন সেহেতু এটি পরিবর্তন করে আপনার নিজের নামে করে নিন। প্রতারক একাউন্ট পরিবর্তন করে দিতে একাউন্টের গোপন পিন নম্বরের শেষ ডিজিট জানতে চায়। ওই ছাত্রী শেষ ডিজিট বলার সাথে সাথে তার একাউন্টে থাকা ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। ওই টাকা তার কলেজ ও আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা ছিল বলে জানান তিনি। প্রতারণার শিকার হওয়া লোকজনের ধারণা যেহেতু প্রতারক চক্রের লোকজন তাদের একাউন্টের অনেক কিছুই জানতে পারে এবং ফোন দেয়ার পর বলে থাকে সেহেতু তাদের সাথে কোম্পানীর কোন অসৎ কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারি জড়িত থাকতে পারে।