স্টাফ রিপোর্টর ॥ জেলা প্রশাসন ও হবিগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ স্থাপনাসহ অস্থায়ী হকার্স দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপর ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন হবিগঞ্জ সদর থানার একদল পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযানে শহরের শায়েস্তানগর থেকে শুরু করে চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ছোট ছোট টং দোকান ও অস্থায়ী হকার্স মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়। তবে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার এ যৌথ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জনসাধারণ। কেউ কেউ বলছেন, এসব অস্থায়ী দোকান ও হকার্স মার্কেটের ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত থেকে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। হবিগঞ্জ সদর থানার সামন থেকে সদর হাসপাতালের মেইন গেইট পর্যন্ত প্রায় ৮০টি দোকান ছিল। দোকানগুলোতে অধিকাংশ সময়ই আনাগোনা ছিল নানা পেশার মানুষের। তবে বেশী যাতায়াত ছিল এক শ্রেণীর প্রতারক, ফার্মেসীর দালাল ও ভাসমান পতিতাদের। গতকাল এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখা গেছে এদের।
সদর হাসপাতাল গেইটের ‘মা’ ফার্মেসীর মালিক এ এইচ রুবেল জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় বর্তমানে এলাকায় স্বস্থি ফিরে এসেছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসার দাবিদার। সদর হাসপাতালের গেইটে বসে থাকা ডুম তাজুল ইসলাম তাজু বলেন, ‘আগে ইখানও বাজে মেয়ে-ছেলে থাকতো, এরা উঙ্কা নাই। এটা খুবই বালা কাম।
সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, ইতিপূর্বে বহুবার সদর থানা কর্তৃক তাদের বিতাড়িত করা হলেও সকলের অগোচরে এরা আবার বসে যায়। তবে এবার কঠোর নজর দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আহাম্মদ আলী শামীম জানান, বিষয়টি আসলেই খুবই প্রশংসনীয়।