স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত রেমা বাগানে অবাধে চলছে মদ তৈরী ও বিক্রির কাজ। সন্ধ্যার পর সেখানে বহিরাগত মাদকসেবীরা মোটর সাইকেল নিয়ে এসে মাদক সেবন করে। শুধু তাই নয় বাগানের আশে পাশের গ্রামের যুবকরাও জড়িয়ে পড়ছে এই নেশায়। এ ব্যাপারে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিকার চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেমা বাগানের সাবেক এক সহকারী ব্যবস্থাপকের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে এই মদ উৎপাদন ও ব্যবসা। বাগানে চাকুরী করার সময় শ্রমিকদেরকে ব্যবহার করে এই মাদক ব্যবসা গড়ে তুলেন তিনি। তার এই অপকর্মের জন্য কোম্পানী তাকে চাকুরীচ্যুত করলেও এই কাজ তিনি অব্যাহত রাখেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে মাদক ব্যবসা করে তিনি প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন এবং ভারতেও তার বাড়ি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবকরা এখানে এসে মদ পান করে। এখানে কোন পাট্টা না থাকলেও সন্ধ্যার পর রীতিমত মদের হাট বসে। বিশেষ করে রেমা বাগানের আশ পাশের আলী নগর, বাসুল্লা, পূর্ব মুছিকান্দি, গোবরখলা, বালুমারা, ছেগানগর ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার যুবকরা এই মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে। নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে চা কোম্পানীর আইন উপদেষ্টা ও হবিগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, আমরা এই ব্যাপারে অবগত আছি। প্রশাসন এই মাদক ব্যবসা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। তিনি আরো বলেন, অবৈধ মদ উৎপাদন ও বিক্রির কারনে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক জানান, বিষয়টি আমরা অবগত নই। তবে এটি একটি দুর্গম এলাকা। এখানে অভিযান পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য। তারপরও আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করব।
সন্ধ্যার পরই দুর্গম এই এলাকায় বহিরাগত মাদকসেবীদের আনাগোনা
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com