স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনু মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল তিনি অর্থ আত্মসাত ও রামপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সাদেক মিয়ার উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজিরা দিলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান আনু মিয়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সাদেক মিয়ার উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালান ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী। এসময় সাদেক মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ভাংচুর করা হয় তার মোটর সাইকেল। এসময় সাদেক মিয়ার শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর সাদেক মিয়ার ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান আনু মিয়া পলাতক ছিলেন।
এলাকাবাসী অনেকেই জানান, চেয়ারম্যান আনু মিয়া গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। আর এই দরিদ্র মানুষগুলো টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান আনু মিয়া অশ্লীল ভাষায় গালাগালিজ করে নানা ভয়ভীতি দেখান। ইউনিয়নের প্রতারণার ভোক্তাভোগীরা জানান সরকারি বরাদ্দে গরু দিব, কার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হয় কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের সরকারি কোনো কিছুই দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে ইউনিয়নের প্রায় সকল মেম্বারই ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের মেম্বারগণ জানান, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ না করেই ভুয়া কাগজ দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেন এই আনু মিয়া। নাম প্রকশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান আনু মিয়ার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে চান। এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীয়ান জানান, তার বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে আদালতে। তার বিরুদ্ধে দুদকেও মামলা রয়েছে।
চেয়ারম্যানের হামলার শিকার হওয়া পরিবারের লোকজনসহ প্রতারিত জনগণের মধ্যে আনন্দ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com