স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক মতি মিয়া হত্যা মামলার ২নং আসামী নুর মিয়া প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। এতে মামলার সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে বাদী সংশয় প্রকাশ করছেন।
মামলার বিবরণে জানায়, গত ২০ অক্টোবর নিহত মতি মিয়ার ছেলে রতন মিয়া একই গ্রামের ফুল মিয়ার আত্মীয়ের দোকান থেকে জুতা ক্রয় করে এবং টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু ফুল মিয়াকে তার আত্মীয় বলে, জুতা ক্রয়ের টাকা রতন মিয়া পরিশোধ করেনি। টাকা পরিশোধ না করায় ঘটনার দিন বিকেলে ফুল মিয়া ছালেক মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে রতন মিয়াকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং মারধোর করে। পরে রতন মিয়া কান্নাকাটি করে তার বাবাকে এ ঘটনা জানায়। পরে তার বাবা মতি মিয়া ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুল মিয়াকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে যান। পথিমধ্যে ছালেক মিয়ার দোকানের সামনে ফুল মিয়াকে পেয়ে তার ছেলেকে মারধোরের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ফুল মিয়া উত্তেজিত হয়ে তার লোকজনদের নিয়ে মতি মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মতি মিয়ার শরীরে আঘাত করে মাটিতে ফেলে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় মেম্বার সাস্তু মিয়াসহ এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আছকির মিয়া বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে জিআর নং ৩০৭/১৯ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩০২ ১১৪/৩৪ দন্ডবিধি এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার ১নং আসামী করা হয় কালনী গ্রামের নঈম উল্লার ছেলে ফুল মিয়াকে ও ২নং আসামী করা হয় তার ভাই নুর মিয়াকে। নুর মিয়া সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। মামলার বাদী আছকির মিয়া জানান, আমার ভাই মতি মিয়াকে রড দিয়ে পিটিয়ে ডান দিকে আঘাত করে। সে আমার ভাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং সে মামলার ২নং আসামী। তিনি বলেন, সে রাতের বেলা কর্মস্থলে থাকছে। সেখান থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এমন কি মামলার সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ বলছে স্থান ত্যাগ না করা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। হত্যা মামলার আসামী হয়ে নুর মিয়া চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- সোহেল মিয়া, ছামিউন মিয়া, জলফু মিয়া, সুজন মিয়া, সুমন মিয়া, রুমন মিয়া, হাফিজুর মিয়া, আলকাছ মিয়া, সোবহান মিয়া।