স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ শ্যামলী এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা পতিতালয় থেকে আটক সেজিয়া আক্তার ওরফে সাদিয়াকে (৩০) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তার আরও অপকর্মের অজানা কাহিনী বেরিয়ে আসতে শুরু হয়েছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে যুবতি সুমা আক্তারের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে সেজিয়া আক্তার সাদিয়াসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে, মিনি পতিতালয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার সুমা আক্তার পুলিশ প্রহরায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়- পইল গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী জাহানারা আক্তার তার কন্যা সন্তান সুমাকে নিয়ে শায়েস্তানগর মোকামবাড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। উমেদনগরের রাসেল ওরফে রুমান মিয়া নামে এক যুবকের সাথে সুমার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। কৌশলে রাসেল সুমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সম্প্রতি বেড়ানোর কথা বলে সুমা রাসেলকে দক্ষিণ শ্যামলী এলাকায় সাদিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। সাদিয়া তাকে ব্ল্যাকমেইল, বিদেশে পাচারের ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ইনজেকশন পুশ করে খদ্দেরদের মনোরঞ্জন করতে বাধ্য করে। এক মাস ধরে মক্ষিরাণীর শত নির্যাতন সহ্য করে সুমা তার কথামতো চলে আসছিল। গত শনিবার দুপুরে সুমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও পৌর কাউন্সিলর শেখ নুর হোসেন ওই বাসা ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ঘর থেকে সুমা, কেয়া, সোনিয়া, নাদিম ও রাহিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উমেদনগরের জুয়েল মিয়া ও সাদিয়া পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাদিয়াকে গ্রেফতার করে। কিন্তু জুয়েল ও রাসেলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আটক সাদিয়াকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উক্ত মামলার এসআই জানান, সাদিয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার এই আস্তানার মূল রহস্য উদঘাটন হবে। সুমা সুস্থ হলে তার জবানবন্দী নেয়া হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় গড়ে তোলা মিনি পতিতালয়ের সর্দারনী সাদিয়া গ্রেফতার
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com