মোঃ নুরুজ্জামান ফারুক্বী, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় এলপি গ্যাস ওজনে কম ও অনেক সিলিন্ডারে পানি থাকার অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। এতে গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন। প্রত্যেকটি সিলিন্ডারে ১২ কেজি গ্যাস থাকার কথা থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ৯ বা ১০ কেজি গ্যাস দিয়ে পুরো দাম নিচ্ছেন। আর প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। এতকিছুর পরও যন্ত্রণার শেষ নেই। কম ওজনের গ্যাস সঠিক ওজনের দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সবমিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে গ্রাহক পড়লেও নীরব রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লাইনের গ্যাসের ব্যবস্থা না থাকায় পৌরসভা সহ হাজারো গ্রাহক এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন। ৮০০ টাকা থেকে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তে বাড়তে এখন ১২০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও গত বছরে এলপি গ্যাসের দাম ১৫০০ টাকার উপরে চলে যায়। সম্প্রতি তা কমে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। সরজমিনে জানা যায়, দোকানের কথামতো ১২ কেজি নিশ্চিত হয়ে সিলিন্ডার এলপি গ্যাস কিনেছেন একজন গ্রাহক। ব্যবহার করার পর দেখা দিল সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হচ্ছে না। এতে তার সন্দেহ হয়। তিনি ক্রয়কৃত দোকানে সিলিন্ডার নিয়ে গেলে ওজন দিয়ে দেখা যায় তার সিলিন্ডারে এখনও ৪ কেজির মত গ্যাস রয়েছে। তবে চুলায় আগুন জ্বলছে না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দোকানি জানান, ওই ৪ কেজি গ্যাস নয় পানি রয়েছে। আপনার ভাগ্য খারাপ বলে দোকানি তাকে শান্তনা দেয়। দোকানি তাকে জানান, এভাবে বেশ কিছুদিন ধরে সিলিন্ডারের সাথে পানি পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারে পানি সহ ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ এখনও আসেনি। অভিযোগ আসলে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।