পাঠকের কলাম

ইসমাইল হোসেন বাচ্চু
তিন বার এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর এমনিতেই মাথা খারাপ হয়েছিল। অন্যদিকে মা-বাবার অত্যাচার সহ্য করার মতো ছিল না। না খেয়ে কলেজে যাই। তারপর ভীষন ক্ষুধা নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখি মায়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে। এসব সহ্য করতে না পেরে আমি ভাবীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করি। এতেই ভাবী মারা যায়। এমন ঘটনা ঘটবে আমি বুঝতে পারিনি। এ কথাগুলো জানায় কলেজপড়–য়া ছাত্র সাইফুর রহমান। থানা হাজতে আটক থাকা সাইফুর রহমান অকপটে স্বীকার করেছে সে নিজেই ভাবীকে খুন করেছে। সে আরও জানায় এ খুনের সাথে তার মা-বাবা কিংবা আর কেউ দায়ী নয়।
সাইফুর রহমানের বাবা, উপজেলার পশ্চিম বড়াইল গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান ছুরুক আলী (বাতাসী) তার শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এ সুবাদে তার কলেজ পড়–য়া ছেলে সাইফুর রহমানের সাথে মামার বাড়ির লোকজনের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ প্রসঙ্গে, আটক সাইফুর জানায় গত ৩ বছর ধরে সে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আসছিলো। এ বছর সে এসএসসি পাশ করার পর চুনারুঘাট সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। সে পুলিশকে জানায়, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বাড়িতে এসে দেখতে পায় তার মায়ের সঙ্গে ভাবী হোসনা আক্তার ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। এসময় সে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ছুরি দিয়ে ভাবীকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পর আশপাশের লোকজন সাইফুরকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত হোসনা আক্তারের বড় ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে এবং ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী রিপন মিয়া কুয়েত প্রবাসী। হোসনা আক্তারের বাবার বাড়ি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। আটক সাইফুর রহমান বাবার একমাত্র পুত্র। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।