এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী দুর্গাপূজা। অন্যান্য বারের থেকে এবার পূজার সংখ্যা অনেক বেশি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে উৎসাহ উদ্দীপনা এবার লক্ষ্য করা গেছে তা অনেক বৎসরের মধ্যে এত অধিক হারে দেখা যায় নাই। প্রথমেই সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যাদের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফলে সুন্দর ও সার্থকভাবে এই ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়েছে। হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, এডভোকেট আলহাজ¦ আবু জাহির এমপি, মিল্লাদ গাজী এমপি। উনারা যে আন্তরিকতার সহিত পূজা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির খোঁজ খবর নিয়েছেন তাছাড়া এত ব্যস্ততার মধ্যেও বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন এর জন্য আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উনাদের নিকট কৃতজ্ঞ। তাছাড়া জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ, পুলিশ সুপার এবং উনার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, বিদ্যুত বিভাগ, আনসার ও ভিডিপির সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দের যে আন্তরিকতার ছোঁয়া আমরা পেয়েছি তা কখনোই ভুলার মত নয়। এছাড়া এইবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মত দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিজয়া দশমীর দিন সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সার্কিট হাউজে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তা সত্যিই এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা এই দেশে যারা সম্প্রদায়গতভাবে সংখ্যায় কম আছি তাদের মধ্যে যে শংকা ইতিপূর্বে তৈরি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে দূরীভূত হচ্ছে। এর পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজেও দুই তিনটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন এবং বার বার স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। যথার্থই তিনি এটি মনে প্রাণে লালন করেন। যার প্রতিফলন আমরা সর্বক্ষেত্রে দেখতে পেয়েছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একটি বিষয় পীড়া দেয়, সেটি হলো দুর্গাপূজা এলেই দেখা যায় কোথাও না কোথাও প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। এই বিষয়টির দিকে আরো কঠোর দৃষ্টি দিলে এবং স্থানীয়ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে কারা এইসবের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিলে সমস্ত কিছু আরো সুন্দর হবে। আমরা খুবই আনন্দঘন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে পূজা উদযাপন করতে পেরেছি। এই দেশে সকল ধর্মের মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা সত্যিই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হওয়া উচিত। সবশেষে আমাদের এই সম্প্রীতি আরো বেগবান হবে এবং আমরা সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যার যার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারব এই প্রত্যাশা নিয়েই পুনঃ সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে ইতি টানলাম।