স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী থেকে সব অপশক্তির বিনাশ হবে। বইবে শান্তির সুবাতাস। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে স্বামীর ঘরে। এক বছর পর নতুন শরতে আবার তিনি আসবেন ‘পিতৃগৃহ’ এই ধরণীতে। মঙ্গলবার দশমী পূজা সম্পন্ন ও দর্পন বিসর্জন করা হয়। বিষাদের ছায়া ছিল ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্যে, আলোকিত করা ধূপ আরতি ও দেবীর পূজা-অর্চনায়। প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশ্যে কালীবাড়ি পূজামন্ডপ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতেই ভক্তরা শহরের বিভিন্ন এলাকার পূজামন্ডপ থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ভক্তরা নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রাকে আরও বর্ণিল করে তোলে। পরে চৌধুরী বাজার ঘাটলা প্রাঙ্গণে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের উদ্বোধন করেন এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। উদ্বোধনের পর খোয়াই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। তারপর ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করেন। প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধুপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিসর্জন দেয়া হয়। তবে এবার খোয়াই নদীতে পানি কম থাকার কারণে প্রতিমা বির্সজনে পূজারীদের অনেকটা দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়।
প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার আগে রাত সাড়ে ৮টা থেকে শহরে ট্রাকের উপর প্রতিমাগুলো রেখে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা চলাকালে রাস্তার পাশে ভক্ত দর্শনাথীদের ঢল নামে। টাউন হল রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা দেখেন এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। এ সময় তিনি হিন্দু জনসাধারণকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, প্রতিমা বিসর্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com