সঙ্গীতের টানে সরকারি চাকুরি ত্যাগ

বাঁধন মোদক। লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লার বাসিন্দা। এক সময় তিনি হবিগঞ্জ শহরের দানিয়ালপুরে বসবাস করতেন। পরে পূর্ব বুল্লা স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়াকালে সঙ্গীতাঙ্গনে তার পথচলা শুরু হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি চলতে থাকে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ। তিনি রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ সহ এসএসসি পাশ করে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। বাঁধন মোদক জানান, ৩য় শ্রেণিতে লেখাপড়াকালীন সময়ে প্রয়াত সুরেশ সরকারের কাছে তার সঙ্গীতের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে নিজেকে আরো ঝালিয়ে নিতে হবিগঞ্জের প্রখ্যাত সঙ্গীত প্রশিক্ষক ওস্তাত জালাল সিদ্দিকী।, কাজল গোপ ও স্বদেশ দাশের কাছে তালিম নিচ্ছেন। তিনি কলেজ থেকে দেশাত্মবোধক গানে অংশ নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম হন। এছাড়া জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল যমুনা টিভির আঞ্চলিক গানের অনুষ্ঠানে তিনি সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ক্লাসের ফাস্টবয় ছিলেন। ২০১৯ সালে আন্তঃকলেজ পর্যায়ে লোকগীতিতে ১ম, দেশাত্মবোধক গানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি বলেন, সঙ্গীত আমার প্রাণ। তাইতো সঙ্গীতের ভালবাসার মোহে ২০১৬ সালে ৩ মাস ২৩ দিন প্রশিক্ষণ নেয়ার পর পুলিশের চাকুরি ত্যাগ করে আবার আপন ভূবনে ফিরে আসি।
লোক সঙ্গীত, ক্ল্যাসিকেল ও নজরুল গীতিসহ সঙ্গীতের সকল শাখায় রয়েছে বাঁধন মোদকের পদচারণা। তার অবসর সময় কাটে গান শুনে আর বাদ্য বাজিয়ে। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব মা, বাবা, প্রিয় খাবার সয়াবিনের তরকারি আর ডাল। তার প্রিয় ফল লিচু, প্রিয় ফুল গোলাপ। তবে ভজন সঙ্গীতের প্রতি রয়েছে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা। সঙ্গীত জগতে পদচারণা ও সুনাম কুড়াতে মা, বাবা ও কাকার অবদান সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে বাঁধন মোদক জানান, তার মা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। আর তাই চলতে গেলে পারিবারিকভাবেই তার সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ। বাঁধন মোদকের পিতা অঞ্জন মোদক ও মা জবা রানী মোদক। বাঁধন মোদকের স্বপ্ন বড় হয়ে তিনি একদিন অনেক বড় মাপের শিল্পী হবেন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে তার যশ খ্যাতি। সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি পিতা-মাতাসহ হবিগঞ্জের মুখ উজ্জল করবেন। এজন্য তিনি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
-মঈন উদ্দিন আহমেদ