এসএম সুরুজ আলী ॥ লাখাইয়ে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বেশকিছু লুন্ঠিত মালামাল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দীতে তারা উক্ত বাড়িতে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করে। পরে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের জিতু মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জের নূরপুর গ্রামের সৈয়দ আলী, লাখাই উপজেলার স্বজন গ্রামের ফরহাদ মিয়া, মামুন মিয়া ও মফিজুল ইসলাম। রাতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার রাতে লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ফুলবাড়িয়া গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে মুল্যবান জিনিসপত্র লুটকরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলায় প্রবেশের সবগুলো সড়কে চেকপোস্ট বসান। এরপর হাওর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। ভোরে নাছিরনগর উপজেলার আতুকুড়া ব্রিজের নিকট দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে পালানোর সময় চেকপোস্টে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতিক কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ফুলবাড়িয়া হাওর থেকে একটি এলইডি টিভি, ডাকাতিতে ব্যবহৃত রামদা, রড, লোহার পাইপ, হাতুড়ি, বটি দা, ছুরিসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে লাখাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস) শেখ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহমেদ, ডিবির ওসি মানিকুল ইসলাম ও ডিবির ওসি এমরান হোসেন।