লাখাই থানার ওসি এমরান হোসেন বললেন চেয়ারম্যান মামুনকে গ্রেফতার করতে তার নিজের বাড়ি ও বোনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুন। চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুনকে গ্রেফতার করার জন্য লাখাই থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি, বোনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু কোথাও তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরী মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুনকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম পিপিএম-সেবা। ওসি বলেন- মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার রাতে আমরা চেয়ারম্যানের বাড়ি, তার বোনের বাড়িসহ যত স্থানে চেয়ারম্যান আসা যাওয়া করেন সেসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমরা অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তার সন্ধান পেলেই গ্রেফতার করা হবে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাইলো (প্লাস্টিকের ড্রাম) স্থানীয় গরীবদেরকে অনুদান দেয়ার জন্য আসে। ৪নং বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুন তার লোকদেরকে দেয়ার জন্য কৃষি অফিসার সাইফুলকে বলেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদেরকে না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মুড়াকড়ি গ্রাম থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনের রাস্তায় চেয়ারম্যান মামুন ও তার লোকজন কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করেন। এক পর্যায়ে তাকে আহত করেন। স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে লাখাই থানার ওসি সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।