মাস্টার প্লান করে শহরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে চান নবনির্বাচিত মেয়র মিজানুর রহমান মিজান

স্টাফ রিপোর্টার॥ শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাসা-বাড়িতে পানি উঠায় চরম দুভোর্গে পড়েছেন মানুষ। তবে অনেকে অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী মহল ড্রেন দখল করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এছাড়া সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতে শায়েস্তানগর ও বাইপাসের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও শহরের বিভিন্ন এলাকা দখলমুক্ত হয়নি। ফলে জলাবদ্ধতার কমছে না। তারা আরও বলেন, পৌরসভার উপ-নির্বাচনের পরে উচ্ছেদ অভিযানের কথা থাকলেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হচ্ছে না।
শহরের শায়েস্তানগর হকার্স মার্কেট, শ্যামলী এলাকা, পুরানমুন্সেফী, গরুর বাজার, অনন্তপুর, পানি উন্নয়ন বোর্ড সড়ক, শায়েস্তানগর আবাসিক এলাকা, ঘাটিয়া বাজার ও সার্কিট হাউজ মোড় এলাকার প্রতিটি মোড়ে পানি জমেছে। অনেক বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকতে দেখা গেছে। আর এতে হাজার হাজার টাকার মূল্যবান আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে। এছাড়া পানির কারণে রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
শায়েস্তানগরের ব্যবসায়ী সালমান আহমেদ জানান, সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে শহরের প্রধান সড়কের হকার্স মার্কেটের সামনে হাটু পানি জমে আছে। কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই পানি জমে দুর্ভোগ হয়। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি কার্যকর হচ্ছে না।
শিক্ষার্থী তারেক হাসান জানান, শহরের জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের সঙ্গী। পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে দাবি জানাই।
গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার জানান, জলবাদ্ধতার কারণে বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। ফলে ছোট বাচ্চারা বাসা থেকে বের হতে পারছে না। একই সঙ্গে রান্না করতে অসুবিধা হচ্ছে। বাসায় পানি প্রবেশের কারণে অনেক মালামাল নষ্ট হচ্ছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মাস্টার প্লান নিতে যাচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ পেলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মিজানুর রহমান মিজান জানান, সবেমাত্র মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এখনো দায়িত্ব নেইনি। তবে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন বড় চ্যালেঞ্জ। এটি করতে পৌর এলাকার নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মাস্টার প্লান তৈরি করা হবে। এই মাস্টার প্লান অনুযায়ী কাজ করে জলাবদ্ধতা থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করা হবে।