নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় আমন উচ্চ ফলনশীল বীজের জন্য কৃষকরা হাহাকার করছেন। ডিলারদের দোকানে দোকানে ধরনা দিয়েও কৃষকরা বীজ পাচ্ছে না। আবার কোথাও বীজ পাওয়া গেলেও ডিলার কিংবা খুচরা বিক্রেতারা দ্বিগুণের বেশী দাম নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময়মতো বীজ পাওয়া না গেলে অনেক জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে সরবরাহ করা উচ্চ ফলনশীল আমন বীজ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিপো থেকে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম দেয়ার অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকার নির্ধারিত সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা মূল্যের বীজ ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি করছেন ডিলাররা। এদিকে সময়মতো বীজতলা তৈরি করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে চড়া দামে বীজ কিনে নিচ্ছেন কৃষকরা। আবার অনেকেই চড়া দাম দিয়েও বীজ পাচ্ছে না। কোন রকম দামাদামী করলে বীজ নেই বলে ফেরত দেয়া হচ্ছে অনেককে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল চাষ যোগ্য জমি রয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। কৃষি অফিস জানায়, এলাকায় বীজের ঘাটতি নেই। ডিলাররা বলছেন কৃষি বিভাগের হিসাবের সাথে মাঠ পর্যায়ের হিসাবের কোন মিল নেই। একজন ডিলার অভিযোগ করেছেন, উপজেলায় যে পরিমাণ বীজের চাহিদা রয়েছে সে অনুযায়ী সরবরাহ কম। যে কারণে বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের বীজ সংকট নিরসন ও উচ্চ ফলনশীল (উফসি) ধান চাষাবাদের জন্য উপজেলায় বিআর-১১, ব্রি-৫২, ব্রি-৪৯, বিআর-২৩, বিআর-২২, বিআর-৪৪, বিআর-৪০ ব্রি ধান জাতের চাহিদা থাকায় বিএডিসি’র মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করা হয়। মৌসুমের শুরু থেকেই এলাকার চাহিদা অনুযায়ী ডিপো থেকে বীজ উত্তোলন করেন ডিলাররা। তবে বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দরিদ্র কৃষকদের কাছে তা দিগুণ দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লুফে নিচ্ছেন ডিলাররা।