১১ দিন পেরিয়ে গেলেও দুলা মিয়ার সন্ধান মিলেনি

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পাইকুড়া তালতলা নামক স্থান থেকে ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে গাড়িতে তুলে নেয়া দুলা মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির সন্ধান ১১ দিনেও মিলেনি। তার সন্ধানে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিয়েছেন। দুলা মিয়া উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাট্টাশরীফ বড়বাড়ি গ্রামের মৃত মকসুদ আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন সোমবার সন্ধ্যায় দুলা মিয়া তার নিজ বাড়ি থেকে একই ইউনিয়নের শাকির মোাহম্মদ বাজারে যাওয়ার জন্য টমটম গাড়ি যোগে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে আব্দুল মতিনের বাড়ির কাছে পাইকুড়া তালতলা নামক স্থানে পৌঁছামাত্র ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে একটি মাইক্রোবাস এসে টমটমের গতিরোধ করে টেনে-হেচড়ে দুলা মিয়াকে গাড়িতে তুলে নিয়ে দ্রুতবেগে চলে যায়। এ বিষয়ে পরিবারের পাশাপাশি পুলিশও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। এ বিষয়ে অপহৃত দুলা মিয়ার বড় ভাই ইদু মিয়া বলেন, বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও দুলা মিয়ার সন্ধান মিলছে না। পুলিশ জানিয়েছে তারা দুলা মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দুলা মিয়ার বড় ভাই ইদু মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ৪ জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাট্টাশরীফ গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র রফিক মিয়া (৩৫), পাইকুড়া গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র আব্দুল মতিন (৫০), আব্দুল মতিনের পুত্র রুমান মিয়া (২২), শাকিল মিয়া (১৮)। মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ আসামী রফিক মিয়ার ভাই ছাদেক মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে.এম আজমিরুজ্জামান বলেন- দুলা মিয়া কিছুটা সহজ-সরল প্রকৃতির লোক। সে এলাকার একজন নিরীহ কৃষক। ভিটে বাড়ি ছাড়া তার কিছুই নেই। দুলা মিয়ার সন্ধান বের করতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হচ্ছে। মোবাইলের কললিস্ট পাওয়া গেলে রহস্য উদঘাটন অনেকটা সহজ হবে। এদিকে টমটম গাড়ির চালক আয়াত আলী জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল এবং তাড়াতাড়ি দুলা মিয়াকে টেনে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা।
উল্লেখ্য, রফিক মিয়া, আব্দুল মতিন ও ছাদেক মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অপহৃত দুলা মিয়ার বসতবাড়ির ভিটে, রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা সহ বিরোধ চলে আসছিল।