এসএম সুরুজ আলী ॥ চুনারুঘাটে দেউন্দি চা বাগানের বাংলোতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে সিলেটের ডিআইজিসহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাগান সূত্র জানায়, রবিবার রাত ১টার দিকে একদল মুখোশধারী ডাকাত দেউন্দি চা বাগানের বাংলোর এ নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাংলোর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাংলোতে বসবাসরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ অনিমেষ গোলদারসহ তার পরিবারের লোকজনের হাত-পা বেঁধে রাখে এবং ডাক্তার অনিমেষ গোলদারের মাথায় ২টি পিস্তল ধরে রাখে। এ সময় অন্যান্য ডাকাতরা বাসায় থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা, ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে য়ায়।
দুপুরে খবর পেয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ডাঃ অনিমেষ গোলদার জানান, মুখোশধারী ৬ ডাকাত বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে হাত পা বেঁধে লুটপাট শুরু করে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এর আগে গত সপ্তাহে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি কোম্পানীর অপর বাগান লালচান চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ম্যানেজার এবং তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছিলেন। জনবিচ্ছিন্ন চা বাগানের বাংলোতে এতদিন নিরাপদেই কর্মকর্তারা বসবাস করে আসলেও এখন ডাকাত আতংকে সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন।
এ ব্যাপারে চা কোম্পানীর আইন উপদেষ্টা ও হবিগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের বলেন, চা দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। কিন্তু যেভাবে চা বাগানের বাংলোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে এতে করে এই শিল্পে ভবিষ্যতে দক্ষ লোক কাজ করতে আসবেন না। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, এ ব্যাপারে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিবে। ডাকাতদেরকে সনাক্ত করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।