বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলের মিরপুরে ইভটিজিং বন্ধ ও রাস্তাঘাটে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিশাল মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বাহুবল কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন ও মিরপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে রোববার সকাল ১০টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় আলিফ-সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মিরপুর এফ.এন উচ্চ বিদ্যালয়, ভুলকোট আদর্শ বিদ্যানিকেতন, মিরপুর দাখিল মাদরাসা, মিরপুর হোসাইনিয়া মাদরাসা, দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সানশাইন প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল, খাইরুন্নেছা-লতিফ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল, মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ, দি সানরাইজ কেজি এন্ড ডিজিটাল স্কুল, ব্লু-বার্ড কেজি স্কুল, কুতুবুল আউলিয়া ইসলামী একাডেমী, বাহুবল পূজা উদযাপন পরিষদ, আমরা সবুজ মিরপুর শাখা, বাহুবল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও মিরপুর বন্ধন সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাহুবল উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোঃ আসকার আলীর সভাপতিত্বে ও কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, মিরপুর এলাকায় একাধিক হাই স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। প্রতিষ্ঠানসমূহের আশপাশের হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ে প্রতিনিয়ত বখাটের দ্বারা ওইসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও পেশাজীবী নারীরা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। অনতিবিলম্বে পেশাজীবী নারী ও ছাত্রীদের যাতায়াত পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায়, নারী শিক্ষা ও নারীর পেশাগত ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। মানববন্ধন শেষে আয়োজক কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিতকরণ, ইভটিজিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ছাত্রী ও নারীদের চলাচলের রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও এলাকায় পুলিশ প্রহরা বৃদ্ধি করা।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট মিরপুর-বাহুবল রোডে বাজারের প্রবেশমুখে এক বখাটে স্থানীয় সানশাইন প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিপীড়ন করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মায়ের মামলায় প্রধান আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকদের মাঝে ছাত্রী ও নারীদের যাতায়াতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়।