কলেজছাত্রীর ছবি এডিট করে শিক্ষকের ছবির সাথে যুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের নজিপুর গ্রামের কথিত গুরুজী অনুজয় দাস ওরপে সাধক অনুজয়কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক এ এস সামস জগলুল হোসেইন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। তবে একই মামলার অপর আসামী অনুজয়ের ভাই ভানুজয় দাসকে অস্থায়ী জামিন দিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নজিপুর গ্রামের মৃত অনিল দাসের ছেলে কথিত সাধক অনুজয় দাস ও তার ভাই ভানুজয় দাস কাগাপাশা গ্রামের আব্দুল আলীম চৌধুরীর কলেজপড়–য়া কন্যার ছবি এডিট করে এক শিক্ষকের সাথে যুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা আব্দুল আলীম চৌধুরী তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শাহিনুর আক্তারের আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এফআইআর এর আদেশ প্রদান করেন। এর মাঝে আসামীরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এরই মাঝে মামলাটি পিবিআই নিতে চাইলেও গ্রেফতার থেকে বাঁচতে আসামীরা পুলিশকে ম্যানেজ করে পেছনের তারিখে মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে আসে। এমন অভিযোগ করে মামলার বাদী আব্দুল আলীম চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান নারাজির আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক নারাজির আবেদনসহ মামলাটি ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন। রবিবার উভয় আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অনুজয়কে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। মামলার নারাজির আবেদন পরবর্তিতে শুনানি হবে।