স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের টি আর ইলেক্ট্রো মার্ট থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা বিজয়ী হয়েছেন গৃহবধূ মিসেস আসমা বেগম সাদিয়া। একসঙ্গে এত টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তিনি। তার পরিবারে চলছে আনন্দের বন্যা। কিছু টাকা দিয়ে তিনি জমি কিনবেন আর বাকি টাকা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া জন্য জমা করে রাখবেন বলে জানান তিনি।
চেক প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার খাজা গার্ডেন সিটির ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক টি আর ইলেক্ট্রো মার্ট-এ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেতা মিসেস আসমা বেগম সাদিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, টি আর ইলেক্ট্রো মার্ট-এর চেয়ারম্যান রোটারিয়ান মোদারিছ আলী টেনু, ওয়ালটন সিলেট জোনের এরিয়া ম্যানেজার আসাদুজ্জামান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের কো-অর্ডিনেটর নাজমুল হোসাইন ইভান, সার্ভিসিং সিস্টেম ম্যানেজার সোহেল রানা, টি আর ইলেক্ট্রো মার্টের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাওসার আহমেদ সানী, সিইও চিন্ময় আংশুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘোষিত ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ জুলাই থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত যেকোনো শোরুম থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে প্রতিদিনই এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা পেতে পারেন ক্রেতারা। এছাড়া রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। বিজয়ী গৃহবধূ মিসেস আসমা বেগম সাদিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামের মোঃ সারাজ মিয়ার স্ত্রী। সারাজ মিয়া নারায়ণগঞ্জে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। গত ১ আগস্ট টি আর ইলেক্ট্রো মার্ট থেকে একটি ফ্রিজ কিনেন মিসেস আসমা বেগম সাদিয়া। ফ্রিজটি কেনার পর আসমা বেগমের মোবাইল নাম্বার দিয়ে তা রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইল ফোনে ওয়ালটনের অফিস থেকে ম্যাসেজ আসে। সেটি পড়ে দেখেন তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। এতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন তিনি ও তার পরিবারের লোকজন। খবরটি সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে তার গ্রামে।
বিজয়ী আসমা বেগম সাদিয়া বলেন, আমার স্বামী নারায়নগঞ্জে একটি গামেন্টসে চাকুরী করেন। তার আয় দিয়েই সংসার চলে। যা আয় করি তা সংসার খরচেই চলে যায়। এরমধ্যে সংসারের প্রয়োজনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পেয়েছি ১০ লাখ টাকা। এটা যে কত বড় আনন্দের তা বোঝানো যাবে না। তিনি বলেন, কিছু টাকা দিয়ে জমি কিনব আর বাকী টাকা ২ ছেলে ও ২ মেয়ের লেখাপড়ার জন্য ব্যাংকে জমা রেখে দেব।