তদন্ত করে দোষী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক
আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুরে শিক্ষিকার বেতের আঘাতে মেহেদী হাসান (৪) নামে প্রাক-প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে প্রথমে মাধবপুর পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ ঘটনার তদন্ত করে দোষি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বুধবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলা কালিন সময়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোর্শেদা বেগম দুষ্টুমি করার অভিযোগে শ্রেণিকক্ষে অবস্থানরত মেহেদি হাসানকে লক্ষ্য করে সজোরে তার হাতে থাকা বাঁশের বেত ছুড়ে মারেন। এটি মেহেদি হাসানের ডান চোখে গিয়ে আঘাত করে। এতে মেহেদি হাসানের চোখ রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে রেফার করেন। ওই সময় মাধবপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অবস্থানরত জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ ঘটনা শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আহত মেহেদী হাসানের বাবা চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের মোতালিব মিয়া চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান- মেহেদি হাসানের চোখের অবস্থা ভালো নয়। বর্তমানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা পারভীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ বিষয়ে ফোনে কথা বলা যাবে না। সরাসরি এসে কথা বলেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোল্লা জানান- বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ওই ক্লাস্টারে দায়িত্বরত সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্জুর আহ্সান জানান- বিষয়টি দুঃখজনক। খবর পেয়ে শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ও চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসান জানান- অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা সম্পর্কে জানতে আগামীকাল আমি নিজে বিদ্যালয়ে যাবো।