স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুর গ্রামে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫জন আহত হয়েছে। এর মাঝে টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অবস্থায় ২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদেরকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী শেবুল মিয়া ও একই গ্রামের সুরুজ আলীর মাঝে গ্রামের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপোস-মিমাংসার প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় সুরুজ আলীর পক্ষের লোকজন সেখানে বাউন্ডারী নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে শেবলু মিয়ার লোকজন বাধা দিলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বুইদ্ধা মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৪০) ও আব্দুর রশিদ এর ছেলে আফজল মিয়া (৩২) টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাদেরকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেবলু মিয়া জানান, তার নিজস্ব জমিতে সুরুজ আলী পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম থেকে ভাড়াটিয়া লোকজন এনে বাউন্ডারী নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আমি বর্তমান চেয়ারম্যান আনু মিয়া ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব এর মাধ্যমে কাজ বন্ধের অনুরোধ করলে তারা কাজ অব্যাহত রাখে। পরে যুবকরা গিয়ে বাধা দিলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সুরুজ আলীর পক্ষে ভিন্ন গ্রামের শত শত লোক এই সংঘর্ষে এসে যোগদান করে। এতে তার পক্ষের দুইজন টেটাবিদ্ধসহ ১৫/২০জন আহত হয়।
সুরুজ আলীর ছেলে শাহ আলম জানান, তাদের জমিতে বাউন্ডারী নির্মাণ করতে গেলে শেবলু মিয়ার লোকজন আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা কাজ বন্ধ করতে চাইলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিরথান গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এর মাঝে গুরুতর হয়েছেন ওই গ্রামের আব্দুজ জাহির এর স্ত্রী নাজমা আক্তার (৫০), তার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৩) ও মামুন মিয়া (২২)।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী উভয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।