নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে ওই ছাত্রী ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এদিকে মামলার আসামী রোকতন মিয়া বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে নবীগঞ্জ শহরে। মামলা তোলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আসামীপক্ষ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা জেলার মদন থানার ফতেহপুর গ্রামের রোকতন মিয়া’র পালকপুত্র সান্তু মিয়ার ছেলে আসিব ওরফে আসিফ দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ শহরের শিবপাশা এলাকায় বসবাস করে আসছে। সেই সুবাদে তাদের পাশের বাসার সাইদুল মিয়ার দশম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই নানাভাবে উত্যক্ত করতো। এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন আসিফের পালক পিতা রোকতন মিয়ার নিকট বিচার প্রার্থী হন। রোকতন মিয়া বিচার না করে উল্টো মেয়ের মা’কে গালমন্দ করেন। এদিকে আসিফের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারি রাতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসিফসহ আসামীরা ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি মেয়ের মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলার শুনানি শেষে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। গত ২৪ জানুয়ারি মামলাটি থানায় রুজু হয়। এরপরই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ মামলা তদন্তে নামেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালান। গত ২৭ জানুয়ারি সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আউশকান্দি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের সামন থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এসআই আবু সাঈদ। পরে তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ওই দিনই মেয়েটি অপহরণের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এদিকে ঘটনার পরপরই রোকতন মিয়া তার পালক পুত্র আসিফকে সরিয়ে রাখে। আসামী রোকতন মিয়া বীরদর্পে নবীগঞ্জ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাদীর পরিবার আসামী রোকতন মিয়াসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।