এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই নারীসহ প্রাইভেট কারের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোর ৬টায় উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুটিজুরী এলাকার আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেলের স্ত্রী শাহিদা (৩৫), ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা (৩৫) ও নিহত প্রাইভেটকারের চালক। চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ঢাকার গাজীপুর থেকে ঈদুল আযহার ছুটিতে গার্মেন্টস শ্রমিক শাহিদা স্বামীসহ একই এলাকার তিন সহকর্মীকে নিয়ে শুক্রবার ভোররাতে প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-১৬১২) যোগে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী এলাকার আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে এসে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৭৬১৯) একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুছড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালক ও গার্মেন্টস কর্মী মালেহা নিহত হন এবং চার জন গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রাহুলের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শহিদা (৩৫), ফিরোজ মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫), শুকুর আলীর ছেলে রুহুল (৩০) ও শহিদ মিয়ার মেয়ে নাজমা (৩০)। বাহুবল হাসপাতালে নেওয়ার পর গার্মেন্টস কর্মী শাহিদা মারা যান।
খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ও শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটি রাস্তা থেকে সরিয়ে আধা ঘন্টা পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেট কারটি নিয়মবহির্ভূত অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
অন্যদিকে মহাসড়কের এ স্থানটিতে সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিস্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বছরের ১২ মাসই সড়কটি ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে থাকে। কিছু দিন পর পর সামান্য প্রলেপ দিয়ে মেরামত করলেও তা টিকে না থাকার কারণেই প্রতিনিয়ত এ স্থানে দুর্ঘটনা হচ্ছে।