স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে সতর্ক করে সাপ্তাহিক হাজিরার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক প্রথমে তাকে সতর্ক করেন। পরে সাপ্তাহিক হাজিরার শর্তে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে ছুটির দিনে আদালত ভবনে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এক নারীকে নিয়ে সময় কাটান আবুল কালাম। বিষয়টি কোর্টের পুলিশ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করলে তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুল হুদা চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এসময় কালামকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বিচারকের প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে তিনি সটকে পড়েন। বিচারকের নির্দেশে ওইদিন রাত ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার তার ভাড়া বাসা থেকে সদর থানার ওসি অপারেশন দৌস মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। তার এই নারী কেলেংকারীর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয়। এ ঘটনায় কারাভোগ করে আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আবুল কালাম। রবিবার বিকেলে জজ কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে দৈনিক খোয়াই’র সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল চৌধুরীর উপর কালাম ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার ব্যবহৃত ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। হামলায় জুয়েল আহত হন। এ ঘটনা নিয়ে জেলার সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা ও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। গত সোমবার জুয়েল চৌধুরী বাদি হয়ে সদর থানায় কালামসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতভর কালামের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে পারেননি।