সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্চিতা কর্মকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে তাহমিনা আক্তার নীলা (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। পাশাপাশি মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় মেয়ের মা-বাবাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। তাহমিনা লাখাই উপজেলার মোড়াকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
লাখাই উপজেলার মুড়াকরি উত্তর গ্রামে বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চিতা কর্মকার বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। এ সময় মেয়ের মা বাবা মেয়ে পূর্ণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে তাহমিনা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাল্য বিবাহে নিরুৎসাহিত করার লক্ষে মেয়ের মা-বাবার অঙ্গীকার নামা নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা কর্মকার বলেন, লাখাই উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ হচ্ছে সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। উপজেলার কোন জায়গায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে এই মর্মে কোন তথ্য থাকলে প্রশাসনকে জানানোর আহবান জানান তিনি। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পেয়ারা বেগম ও এএসআই সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করলেন মা-বাবা
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com