বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বর্ণিল সাজে সেজেছে বাহুবলের জয়পুরের ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম। সেজেছে বৈষ্ণব বাঙালির মননের প্রতীক শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মামারবাড়ি। চলছে মিরপুর বাজার থেকে জয়পুর শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম প্রাঙ্গণ পর্যন্ত উৎসবের আমেজ। সাজসজ্জায় রয়েছে বাড়তি সংযোজন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে সম্মান জানাতে উৎসব অঙ্গনে শোভা পাচ্ছে হিন্দুধর্মের দশ অবতারের ছবি সংবলিত ফেস্টুন, পোস্টারসহ নানা কিছু। এই সাজসজ্জার আয়োজন শ্রীশ্রী চৈতন্য মাতৃভূমির ৩৯তম বার্ষিক উৎসবকে কেন্দ্র করে।
ধর্ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণের শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধামের বার্ষিক উৎসব। ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী, চাঁদা দাতাদের অপেক্ষার পালা ঘুচিয়ে আজ বিকাল ৩ টায় পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন বাহুবল-নবীগঞ্জের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী)। এর আগে হবে পাঠক মহাসম্মেলন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি উৎসব শেষ হবে। আজ বিকেলে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এমপি মিলাদ গাজী উৎসব অঙ্গন পরিদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে মহাপ্রসাদ।
গতকাল বুধবার উৎসব অঙ্গনের সর্বশেষ প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন সাহা নীরু ও উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন মন্দির ও উৎসব কমিটির নেতৃবৃন্দ। উৎসবঅঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, স্টল ও প্যাভিনিয়নের নির্মাণকাজ শেষ। উৎসবের বিন্যাসে নান্দনিকতার ছাপ রয়েছে। বৃহৎ পরিসর হওয়ায় ভক্ত ও দর্শনার্থীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে উৎসবে ঘুরতে পারবেন।
জানতে চাইলে উৎসব কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, এবার উৎসব অঙ্গনের সাজসজ্জা ও বিন্যাস খুব সুন্দর হয়েছে। নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে উৎসব অঙ্গন। আশা করি, এবার উৎসব জমজমাট হবে। উৎসবে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। উৎসবের প্রচার কার্যক্রমের জন্য থাকছে তথ্যকেন্দ্র। এই তথ্যকেন্দ্রে কাজ করবেন উৎসবের শুভেচ্ছাদূতরা। এ ছাড়া উৎসবে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের বসার স্থান তৈরি করা হয়েছে। থাকছে খাবারের জায়গাসহ বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের জন্য নানা আয়োজন।
উৎসবে প্রবেশ ও বের হওয়ার পর্যাপ্ত পথ রাখা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের সুপরিসর জায়গা রাখা হয়েছে। উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাহুবল থানা ও হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাকর্মীরা থাকবেন। থাকছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। নিñিদ্র নিরাপত্তার জন্য উৎসব অঙ্গনজুড়ে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।