নিতেশ দেব, লাখাই থেকে ॥ গত ১৩ জানুয়ারি দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় ‘মাটিতে ঘুমিয়ে দিন পার স্বামী সন্তান ভিটেমাটি বলতে কিছুই নেই, পেটের তাগিদে কচুর লতি বিক্রি করে জীবন কাটান ৮০ বছরের বৃদ্ধা, ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নজরে আসে লাখাই উপজেলার মনতৈল গ্রামের বাসিন্দা, বুল্লা বাজারের মৌবন মিষ্টি দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী শহীদ মিয়ার মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী মিসেস তাসলিমা শামীমের। সংবাদটি দেখে তিনি আসুলতার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বুল্লা বাজারে আসুলতার হাতে ২ হাজার টাকা তুলে দেন তাসলিমার ছোট ভাই করাব ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন। এ সময় তাসলিমা শামীমের বরাত দিয়ে আল আমিন জানান আসুলতা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে সাহায্য দিয়ে যাবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সারোয়ার ভূইয়া, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানু চন্দ্র দাশ, প্রতিদিনের বাণী পত্রিকার লাখাই প্রতিনিধি মহসিন সাদেক, লাখাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সনজয় সরকার ও সুকমল সরকার।
এর আগে সংবাদটি লাখাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা কর্মকর্তারের নজরে তিনি সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে আসুলতাকে বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন।