উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বললেন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তার ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ থাকায় ৩০ জানুয়ারি জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের জিম্মায় তিনি বই দিয়ে দিয়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানা মাদ্রাসার ইবতেদায়ী ক্লাসের শিশু শিক্ষার্থীরা এখনও সরকারি বই পায়নি। জানুয়ারি মাস পেরিয়ে গেলেও ওই মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১১৩ জন শিক্ষার্থী সময়মতো বই না পাওয়ায় তাদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে।
জানা যায়, বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানার পক্ষ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠ্যবইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদেরকে কোন বই দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে এতিমখানার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ৬ জানুয়ারি ০৫.৪৬.৩৬০০.০১০.০৭.০০৭.১৬.৫৭ নং স্মারকে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান সহকারি কমিশনার শামসুদ্দিন মোঃ রেজা। এ প্রেক্ষিতে গত ২২ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠ্যবই সরবরাহের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হলেও ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হয়নি।
বড়ইউড়ি আবিদা এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন জানান, বই নেওয়া নিয়ে গত বছর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়েছিল। তার ধারণা এ কারনে বই দেয়া হচ্ছে না।
আবিদা এতিমখানার ভারপ্রাপÍ প্রধান শিক্ষক মাবিয়া খাতুন জানান, সব জায়গায় ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আমরা এখনও বই পাইনি। বইয়ের অভাবে ক্লাস শুরু করতে পারছি না। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলে বই দেওয়া হবে বলে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাওসার শোকরানা জানান, আমি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। মাদ্রাসা আছে কিছু শিক্ষার্থীও আছে। তবে এতিমখানা নেই। আমি বড়ইউড়ি গ্রামের সাবেক ও বর্তমান মেম্বার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জিম্মায় বই দিয়ে দিয়েছি। তিনি জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন ও তার আরেক ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ থাকায় ৩০ জানুয়ারি জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের জিম্মায় বই দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনি এখনো এ ধরণের কোন চিঠি পাননি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বই পাওয়ার উপযুক্ত হলে তাদের বই প্রাপ্তি নিশ্চিতে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।