পুষ্পিতা বৈদ্য সাথী এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হবিগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দি রোজেস শিশু কিশোর বিদ্যালয়ে। বলতে গেলে দি রোজেসে পড়াকালীন সময়েই চিত্রাংকনের প্রতি তার আগ্রহ জাগে। পরে মা-বাবার অনুপ্রেরণায় সে সামনে এগিয়ে যায়। সে এ বছর বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সাথী লেখাপড়ার পাশাপাশি চিত্রাংকনেও বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। সে নিজেকে আরও শানিত করে নিতে হবিগঞ্জ চারুকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আশীষ আচার্য্য’র কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তার উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি লিভিং আর্ট’র আয়োজনে ভারতের কলকাতায় বাংলা গ্যালারীতে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শিশু চিত্র প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অ্যাওয়ার্ড লাভ। জলরং-এ সে এ কৃতিত্ব অর্জন করে। ওই প্রতিযোগিতায় এশিয়ার ৭টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। এছাড়াও সে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ, অর্গ্যানিজেশন্ ফর দ্যা রেকগনিজেশন্ অফ্ বাংলা এ্যাজ এ্যান অফিসিয়াল ল্যাংগুয়েজ অফ্ দ্যা ইউনাইটেড নেশন্স হবিগঞ্জ, নজরুল একাডেমী হবিগঞ্জ, প্রয়াস কোচিং সেন্টার হবিগঞ্জ, সুরবিতান ললিতকলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী হবিগঞ্জ, মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুল হবিগঞ্জ, চ্যারিটি স্মৃতি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, জাগ্রত পূজা কমিটি হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঢাকাসহ অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে। তার অবসর সময় কাটে চিত্রাংকন আর টিভি দেখে। তার প্রিয় খাবার ডাল-ভাত, প্রিয় ফল আপেল, প্রিয় রং কাল আর প্রিয় ফুল গোলাপ। আনন্দ উৎসবে সে শাড়ি পরিধান করতে ভালবাসে। তার পিতা দিলীপ কুমার বৈদ্য একজন সরকারি চাকুরিজীবী আর মা কবিতা রানী দাশ একজন আদর্শ গৃহিনী। সাথী লেখাপড়া শেষ করে বিচারক হতে চায়। এজন্য সে সকলের আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করেছে।
– মঈন উদ্দিন আহমেদ