মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর কেটে বালু বিক্রির খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট বিশ্বজিত কুমার পালের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দুই ট্রাক বালুসহ ২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত দু’জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ আইনে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে ট্রাক চালক সাহেদ মিয়া (২৬) ও দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের আশরাক আলীর পুত্র ট্রাকের হেলপার শহীদ মিয়া (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইজারা ছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করে আসছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এনিয়ে বৃহস্পতিবার দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট বিশ্বজিত কুমার পালের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই আব্দুস সামাদ আজাদ, ইনাতগঞ্জ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ুমসহ একদল পুলিশ। অভিযানকালে বালুভর্তি দুটি ট্রাকসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপরোল্লিখিত দ-াদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন, নদীর চর কেটে বালু বিক্রি অবৈধ। এসব ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।