স্টাফ রিপোর্টার ॥ জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, সুর সাধনা আর দেশ জাতীর মঙ্গল কামনায় পূজিত হলেন শিব কন্যা দেবী সরস্বতী। শহরে প্রায় শতাধিক স্থানে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যার দেবী হিসাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের কাছে এটি অন্যতম পূজা। তাই দেবীকে বরণ ও সন্তুষ্ঠী কামনায় নানা আয়োজন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন মন্ডপে পূজো শুরু হয়। বিভিন্ন মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে শিশুদের হাতে খড়ি হয়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রতীমা প্রজেশনে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হবে।
কাঁসার ঘন্টা, মন্দিরা, উলুধ্বনী, ধর্মীয় মন্ত্র উচ্চারণ, ফুল, বেলপাতা, ধূপ, প্রদীপ প্রজ্বলন, ভোগ, আরতি, যজ্ঞ, পুষ্পাঞ্জলী প্রদানের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সরস্বতী শুধু বিদ্যার দেবীই নন সুরের দেবী। সরস্বতীর বাহন সাদা রাজহংস। তার আসন পদ্ম ফুল। তার হাতে থাকে সুরের প্রতীক বীনা। ডান হাতে থাকে আশির্বাদ।
এ বছর হবিগঞ্জ শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জেকে এন্ড এইচকে হাই স্কুল, পিটিআই, বার্ডস কিন্ডার গার্ডেন, লিটল ফ্লাওয়ার কেজি এন্ড হাই স্কুল, মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুলসহ শহরের বিভিন্ন বিদ্যাপীঠ, মন্দির, অফিস পাড়া এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক পাড়া মহল্লায় সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা শেষে ধর্মীয় আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আনন্দ-উচ্ছাসের বাড়তি বহিপ্রকাশ হিসাবে তরুণরা ডিজে শো ও সাউন্ড সিস্টেমের আয়োজন করে। সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে শহরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসন ছিল তৎপর।
এ ব্যাপারে কিন্ডার গার্ডেনের একজন শিক্ষিকা বলেন, মায়ের আর্শিবাদ স্বরূপ ও শিক্ষাজীবন শুরুর মঙ্গল কামনায় এ দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিশুদের হাতে খড়ি দেয়া হয়। এসময়ে শিশুদের হাতে ধরিয়ে পূজোমন্ডপের প্রতিমার সামনে বসে চক-স্লেটের উপরে বিভিন্ন বর্ণমালা লেখানো হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com