স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর থেকে একটি বিরল প্রজাতির লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এশিয়ান টিভি হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এস এম সুরুজ আলীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল পেঁচাটি উদ্ধার করেন। পরে এটিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর তত্ত্বাবধানে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ‘পরিবর্তনের ধারা আলোর পথ’ সামাজিক সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম দিদার বাপা সেক্রেটারিকে জানান, কয়েকজন শিশু-কিশোর পেঁচাটিকে ইট পাটকেল দিয়ে ধাওয়া করছিল। কিছুদিন আগেও বাপা’র মাধ্যমে একই রকম একটি পেঁচা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার সংবাদ তিনি স্থানীয় সংবাদপত্রে পড়েছেন। তাই পেঁচাটিকে নিরাপদ রাখতে তিনি বাপা’র সহযোগিতা কামনা করেন। বাপা’র পক্ষ থেকে বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে বেলা ১টার দিকে বন বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল শহরের শ্যামিলী এলাকায় তোফাজ্জল সোহেলের কাছ থেকে পেঁচাটি গ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, জুনিয়র ওয়াইল লাইফ স্কাউট মোহাম্মদ সহিদ উদ্দিন, অফিস সহকারী তাপস ভর, ড্রিমস এনিমেল রেস্কিউ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইফতেখার হোসেন, তাহসিন বিলওয়াল আরিয়ান, তালহা হোসেন প্রমূখ।
তোফাজ্জল সোহেল জানান, পেঁচা পরিবেশবান্ধব পাখি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই পাখির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। লোক সম্মুখে পেঁচার বিচরণ খুব একটা নেই। গাছের উঁচু ডাল, পরিত্যক্ত বাড়ি, গাছের কোটর, অপেক্ষাকৃত অন্ধকার নির্জন পরিবেশে থাকতেই এরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সাধারণত ছোট ছোট প্রাণী যেমন- ইঁদুর, টিকটিকি, বিভিন্ন ধরণের কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার।