স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স কমিয়ে শাহজীবাজার বিদ্যুত কেন্দ্র (বিউবো) এর আঞ্চলিক হিসাব দপ্তরের এমএলএসএস পদে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ আব্দুল জব্বার খান আজদু। এ ব্যাপারে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তার সৎ মা মোছাঃ তফুরা বেগম। লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম সিদ্দিক আলী খান (তুপান আলী) ২০০১ সালের ৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে তাকে প ও স সার্কেল মৌলভীবাজার দপ্তরের এমএলএসএস পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি উক্ত পদে নিয়োগ পাওয়ার পর সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকুরী নিয়মিত করা হয়। এসময় তফুরা বেগমের চাকুরী নিয়মিত করা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি নিয়মিত চাকুরীর আশায় পোষ্য হিসেবে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ময়মনসিংহ দপ্তরে পরীক্ষায় অংশ নেন। তখনও তার চাকুরী নিয়মিত হয়নি। এর আগে তিনি ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকায় পোষ্য হিসেবে আবারও এমএলএসএস পদে পরীক্ষায় অংশ নেন। যার রোল নং-৯১। এসময় তার চাকুরী নিয়মিত করা হয়নি। আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর শ্রম ও কল্যাণ পরিদপ্তর, বিউবো ঢাকা পত্র দ্বারা অন্যান্য পোষ্যদের সাথে তফুরা বেগমের তথ্য চায়। তিনি যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তথ্য প্রেরণ করেন। কিন্তু তার চাকুরী নিয়মিত করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড থেকে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। উক্ত নিয়োগপত্রে দেখা যায়, তফুরা বেগমের নাম নেই। তার স্থলে তার স্বামীর ১ম স্ত্রীর ছেলে মোঃ আব্দুল জব্বার খান (আজদু) এর নাম রয়েছে। জব্বার খানকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদানসহ শাহজিবাজার বিদ্যুত কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়। তার নিয়োগের ক্রমিক নং-৩০। ওই নিয়োগেও তফুরা বেগম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার চাকুরী হয়নি। তফুরা বেগম আবেদনে উল্লেখ করেন, তিনি যখন ২০০৩ সালে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন তখন আব্দুল জব্বার খানের বয়স ছিল ৩৩ বছর। এ হিসেবে ২০১৯ সালে আব্দুল জব্বার খান যখন চাকুরিতে যোগদান করেন তখন তার বয়স ৫০ বছর। অথচ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জব্বার খান নিয়োগপত্রে তার জন্ম তারিখ ১৯৮১ সালের ৬ জুন উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় তার জন্ম তারিখ ১৯৭১ সালের ৭ আগস্ট উল্লেখ রয়েছে। এ হিসেবে ৫০ বছর বয়সে চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছেন জব্বার খান। তিনি বলেন- প্রতারণার মাধ্যমে তার সৎ সন্তান ৫০ বছরের উর্ধ্বের আব্দুল জব্বার খান তার চাকুরী কেড়ে নিয়েছেন। এর সুষ্টু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।