রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত বনমথুরা খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল এমনকি জনসাধারণের চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় পুরো ব্রিজটি ভেঙ্গে বড়ো ধরণের বিপদ ঘটতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে পার্র্শ্ববর্তী ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রিজটি এখন যেন মরণের এক ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়েই প্রতিনিয়তই যাতায়াত করছে উক্ত ইউনিয়নের জনসাধারণ থেকে শুরু করে মন্দরি ইউনিয়নের জনগণ। ব্রিজের বেশিরভাগ এককথায় মধ্যবর্তী স্থানে বড়ো ধরণের গর্ত হয়ে আছে। ঢালাই ভেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে। ফলে ব্যাটারি চালিত টমটম বা সিএনজি পারাপার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এই রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার জনসাধারণ হাওরে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসার একমাত্র পথই এটা। তবুও দৈনন্দিন চাহিদার কারণে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজই ব্যবহার করছে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ। এই ব্রিজটি যদি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে তাহলে তাদের কাজে মারাত্মক ব্যাঘাট ঘটবে। বর্ষা মৌসুমে বনমথুরা খালের উপর নির্মিত এই ব্রিজটিই একমাত্র ভরসা জনসাধারণের। ব্রিজটি পুন:নির্মাণের আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি আজ পর্যন্তও। স্থানীয়রা জানান, এই ব্রিজটি প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নির্মাণ করা হলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে মনে ভয় নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। তাই দ্রুত এটি সংস্কার বা এটা ভেঙ্গে নতুন আরেকটি ব্রিজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এই বিষয়ে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী আল-নূর তারেকের সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, এই ব্রিজটিসহ উপজেলার আরেকটি ব্রিজ সাপোর্টিং ব্রিজ প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে গত বছরই। কিছু কিছু ব্রিজ অনুমোদন হয়ে আসছে, তারপরও নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়ে আলোচনা করে আবার পাঠানোর চেষ্টা করবো।