স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরির মাধ্যমে আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এই অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- দেশের মানুষ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনৈতিকরা বলতেন বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে। এই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য এবং মানুষের ভোটাধিকার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিল বিএনপি। গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদেরকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন। কিন্তু নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগ জাতির সাথে যে তামাশা করেছে তাতে দেশবাসী হতবাক হয়েছিল। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হয় না এবং হবেও না।
জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, এমজি মুহিত, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, নুরুল ইসলাম নানু, আজিজুর রহমান কাজল, মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, জহিরুল হক শরীফ, সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সফিকুর রহমান সিতু, এমদাদুল হক ইমরান, রুবেল আহমেদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহ ফারুক আহমেদ, ফারুক আহমেদ, জিল্লুর রহমান, শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, গোলাম মাহবুব, সৈয়দা লাভলী সুলতানা, মুর্শেদ আলম সাজন, শেখ মামুন, তানিয়া খানম, সুরাইয়া আক্তার রাখি, তাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম সবুজ প্রমুখ।