এসএম সুরুজ আলী ॥ ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের হবিগঞ্জের মিরপুর থেকে মুছাই এলাকা পর্যন্ত রাস্তা ভেঙ্গে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের যানবাহনে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তার সংস্কার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কটি হবিগঞ্জের মিরপুর থেকে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল হয়ে শেরপুর পৌঁছেছে। এক সময় এ সড়কটি দিয়ে সিলেট থেকে ঢাকায় যাতায়াত করা হতো। নতুন মহাসড়ক নির্মিত হওয়ায় ওই সড়কটি দিয়ে সিলেটের লোকজন যোগাযোগ করলেও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দারা ওই সড়কটি দিয়ে ঢাকা ও সিলেটসহ হবিগঞ্জে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করছেন। কিন্তু সড়কের মিরপুর থেকে হবিগঞ্জের সীমান্ত মুছাই এলাকার ১২ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগছে ১ ঘন্টা। এতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। খানাখন্দকে পরিপূর্ণ রাস্তাটি দিয়ে চলতে গিয়ে শারীরিক সমস্যায় ভোগছেন ওই রাস্তায় প্রতিনিয়ত চলাচলকারী যাত্রীসহ পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা। এ রোড দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী বাসচালক সবুজ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন হলো রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গর্তগুলো বড় হয়ে যাওয়ার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি লেগে যায়। তাছাড়া এসব গর্তের উপর দিয়ে প্রতিদিন গাড়ী চলার কারণে গাড়ীর মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেমনি চলাচলে বেশি সময় লাগছে। প্রতিদিন গাড়ীর মেরামত কাজ করতে হচ্ছে। ফলে আমরা যে টাকা উপার্জন করি সেই টাকার সিংহ ভাগই গাড়ী মেরামতে খরচ করতে হয়। এ অবস্থায় আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ভারটেক্স পেপার মিলের নির্বাহী মোঃ জসিম চৌধুরী জানান, প্রায় ৪/৫ বছর ধরে রাস্তাটি ভেঙ্গে আছে। এতে আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। তবে সংস্কারের ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমেদ। তিনি বলেন, ওই সড়কসহ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কিছু অংশ সংস্কার কাজের জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। কথা ছিল ঠিকাদার প্রথমে মিরপুর অংশে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু কি কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না, আমরা এ বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলবো।
অপরদিকে মিরপুর থেকে বাহুবলে যাওয়ার পুরাতন রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। ওই রাস্তার সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।