চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ডিবি পুলিশ ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে। চার্জশীটে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে বুয়েট ছাত্রলীগে বহিস্কৃত নেতা ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় চুনারুঘাটবাসী তাকে ধিক্কার জানিয়েছেন।
মুন্নার মা কুলসুমা আক্তার শেলি এ ঘটনায় তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি জানান, তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ঘটনার রাতে মুন্না তার গ্রামের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় মুন্না বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এদিকে ঘটনার সাথে মুন্না জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে ডিবি পুলিশ। মোবাইল ট্র্যাকিং করে মুন্না এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে মুন্নার মায়ের দাবি অনুযায়ী মুন্না ঘটনার রাতে বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়েছে। কিন্তু বিয়ে বাড়ি থেকে বিয়ের রাতেই তাড়াহুড়া করে রাতেই ঢাকা যাওয়ার ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। চুনারুঘাটবাসী মনে করছেন সে পুর্বাপর ঘটনায় জড়িত ছিল বলেই তাড়াহুড়া করে রাতেই ঢাকা চলে যায় এবং ভোরবেলা পুলিশের হাতে আটক হয়।
মুন্না পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তার মা দাবি করেছিলেন তার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তিনি এ ঘটনারও বিচার দাবি করেছিলেন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে তার ছেলে মুন্নাও এ ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ আদালতে চাজশীট দিল।
ইশতিয়াক মুন্নারা ৩ ভাই। সবাই মেধাবী। মুন্না গ্রামের স্কুল ঘরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ২০০৮ সালে তারা বাবা মারা যান।