চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরশহরে ব্যাটারি চালিত টমটম ও রিক্সা ভাড়ার নৈরাজ্য কিছুতেই থামছে না। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত টমটম ও লাইসেন্স বিহীন রিকশা পৌরশহরে চলাচল করছে।
টমটম ও রিকশা চালকরা সাধারণ যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়তই ঝগড়া করে থাকে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, পৌরসভার সাবেক মেয়র মহুরম মোহাম্মদ আলী পৌরশহর এলাকার জন্য প্রথম ব্যাটারি চালিত টমটম ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করেন। পৌরশহরের উত্তর বাজার এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত এবং এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে বাল্লা রোডের শেষ পর্যন্ত টমটম ভাড়া ৫ টাকা ও রিক্সা ভাড়া ১০ টাকা। পৌরশহরে টমটম – রিক্সা চালক ও যাত্রীদের স্বস্থি ফিরে আসলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ক্রমেই বাড়তে থাকে চালকদের দৌরাত্ম্য। নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকীর অভাবে সর্বমহলে প্রশংসিত এ উদ্যোগ অল্প সময়ে ভেস্তে যায়। পরবর্তী মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসু সিএনজি, ব্যাটারি চালিত টমটম ও রিকশা চালক-মালিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যানজট নিরসন করেন। কিন্তু যানজট নিরসন হলেও পৌরশহরে টমটম ও রিকশা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পৌর মেয়র মহুরম মোহাম্মদ আলীর তৎকালীন সময়ও এনিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আলোচনা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিনিয়ত চালকদের সাথে যাত্রীদের বাকবিতন্ডা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্বল্প আয়ের মানুষ দারুন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জুলেখা খাতুন নামে এক মহিলা জানান, পৌর এলাকার এক্সচেঞ্জ অফিসের পাশ থেকে রিকশাযোগে উপজেলা গেইট পর্যন্ত যাই। রিকশাচালক আমার কাছে ৪০ টাকা দাবি করেন। আমি বাধ্য হয়ে ৪০ টাকা ভাড়া দিয়েছি। কলেজ পড়ুয়া ছাত্র জুনায়েদ মিয়া, এমরান মিয়া, জুবায়ের আহমেদ, মোঃ শাহিন মিয়া জানান, পৌর শহর থেকে পৌরশহর পর্যন্ত টমটম উঠানামা করতে ১০ টাকা ও রিক্সা ২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এতে আমরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছি। যাত্রী হয়রানী বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামসু বলেন, ব্যাটারি চালিত টমটম ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ ও যানজট নিরসনের জন্য ইতিমধ্যে মালিক-চালকদের সাথে বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই তা কার্যকর করা হবে বলে তিনি জানান।