স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে প্রাণ কোম্পানীর এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করেছে লম্পটরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ধর্ষককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে মেয়েটি গণধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। গতকাল ওই যুবতীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক যুবক আব্দুল কদ্দুছ (২৫) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের মহরম আলীর পুত্র।
পুলিশ সূত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের দিদার হোসেনের যুবতী কন্যা, প্রাণ কোম্পানীর ওই নারী শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত শনিবার রাতে মথুরাপুর গ্রামে নিয়ে যায় আব্দুল কদ্দুছ। পরে গ্রামের পাশের হাওরে টাওয়ারের কাছে নিয়ে গভীর রাতে আব্দুল কদ্দুছ ও পলাশসহ তার সহযোগিরা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বিষয়টি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাকে অবগত করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল কদ্দুছকে আটক করে। এ ঘটনায় মেয়েটির বোন পরিচয় দিয়ে রিতু নামের এক মেয়ে বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কথিত ধর্ষিতার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ায় তার স্বামী তাকে তালাক দেন। এরপর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। রবিবার রাতে আটককৃত আব্দুল কদ্দুছ ও পলাশ তাকে চুক্তিতে মথুরা গ্রামে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের পাশের হাওরে তারা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় সে তাদের ফাঁসানোর জন্য শোর চিৎকার করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রিতু এক মেয়ে থানায় এসে কথিত ধর্ষিতাকে নিজের বোন পরিচয় দিয়ে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে। রাতে কথিত ধর্ষিতার মা-বাবা থানায় এসে জানান, রিতু তাদের মেয়ে নয়। রিতু তাদের মেয়েকে নিয়ে নষ্ট করেছে।